চকরিয়া প্রতিনিধি :
চকরিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সভাপতি আবু জাফর ও সাধারণ সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, চকরিয়া উপজেলার চিংড়িজোনের ৫ হাজার ১১২একর জায়গার মালিকানা পুর্ব পুরুষের সম্পদ, এরই আলোকে রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতি ভোগদখলে থাকলেও আইনী মারপ্যাচে কতিপয় প্রভাবশালী মহল প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সহায়তায় তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে।
তাঁরা বলেন, প্রভাবশালী মহল ও প্রশাসনের ধারাবাহিক হয়রানির জেরে সমিতির পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে রিট মামলা দায়ের করা হলে দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির ভোগ দখলীয় জায়গায় হয়রানি না করতে আদেশ দেন।
আজ ৮ জুলাই/১৭, শনিবার (৭জুলাই) চকরিয়া শহরে সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি ও সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, সমিতির জায়গার ব্যাপারে আদালতের আদেশ অবমাননার ঘটনায় ফের সমিতির পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে ভুমি মন্ত্রানালয়ের সচিব, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও থানার ওসিসহ প্রশাসনের ১১টি দপ্তরের কর্মকর্তাকে বিবাদি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা (নং ২৬১/১৭)। গত ৬জুন আদালত শুনানী শেষে উক্ত মামলার আদেশ দেন। আদেশে আদালত অভিযুক্ত বিবাদি পক্ষকে স্ব-শরীরে আগামী ২৫ জুলাই আদালতে হাজির হতে এবং উক্ত জায়গার ব্যাপারে রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতিকে কোন ধরণের হয়রানি না করতে আদেশ দেন।
সমিতির সভাপতি ও উপস্থিত সদস্যরা সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন, উচ্চ আদালতের আদেশ লঙ্গন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসির অযাচিত হস্তক্ষেপে রামপুর পুলিশ ফাঁড়ির আইসিকে ব্যবহারে ভোগদখলী রামপুর মৌজার আরএস ১০৮৪, বিএস ২০২৯ দাগের ২৫০ একর জায়গা থেকে রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতি সদস্যদেরকে উচ্ছেদ করে দিয়েছে।
সমিতির সভাপতি আবু জাফর অভিযোগ করেছেন, উচ্চ আদালতের আদেশের কপি রামপুর পুলিশ ফাঁিড়র আইসিকে দেখলে তিনি উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে আদালতের আদেশের কপি ছিঁেড় ফেলেন। এব্যাপারে সমিতির ১২৫০জন সভ্যসহ ১০ হাজার সদস্য উচ্চ আদালতের আদেশ মতে তাদের পৈত্রিক সম্পদ ফিরে পেতে প্রশাসনের কাছে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
।
পাঠকের মতামত: